বেলাব উপজেলার পটভূমি

বেলাব উপজেলাটি ১৯৮২ সনের পূর্বে পার্শ্ববর্তী উপজেলা মনোহরদী ও রায়পুরার সাথে একিভূত ছিল। তৎকালীন সরকারের প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের ফলে  মনোহরদী উপজেলা  হতে পাটুলী, বিন্নাবাইদ, বাজনাব, বেলাব ও আমলা ইউনিয়ন এবং রায়পুরা উপজেলা হতে নারায়নপুর ও সল্লাবাদ ইউনিয়নকে নিয়ে, মোট ৮টি ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ একটি উপজেলা গঠন করা হয়। যারনামকরণ করা হয় বেলাব উপজেলা।

ইতিহাস ও ঐতিহ্য মানুষের অতীত ঘটনাবলী সঠিক পর্যালোচনা করে । যারউপর ভিত্তি করে মানুষ বর্তমান ও ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যায় এবং নিজেদেরকে গড়ে তুলে সু-সভ্য জাতি হিসেবে। সে হিসেবে এ অঞ্চল  অতীত আর গৌরবোজ্জল ঐতিহ্যে বেলাব উপজেলা। এ উপজেলার  কৃতি সন্তানেরা প্রমিথিউসের মত আলো জ্বেলেছেন বেলাব এর ঘরে ঘরে এবং নন্দিত হয়েছেন সমগ্র বিশ্বে। এ উপজেলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক, প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহকারী জনাব মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ পাঠান খুজে পেয়েছেন ওয়ারী-বটেশ্বর গ্রামে প্রায় আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন দূর্গ নগরী । বেলাব উপজেলার ওয়ারী বটেশ্বর  এখন বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হিসাবে পরিচিত। এখানে আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন নগরের সমসাময়িক মানব সভ্যতার বিস্তৃত এ দূর্গএলাকায় ইটের স্থাপত্য, প্রশস্থ রাস্তা, অসম রাজার গড়, লৌহ নির্মিত অস্ত্র ও অন্যান্য নিদর্শন আবিস্কৃত হয়েছে। যা বর্তমানে খনন কাজে নিয়োজিত দলনেতা জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান এর দায়িত্বে সংরক্ষিত আছে।